DEHLIJ

উমাপদ কর

ফেরিওয়ালার সেলুলয়েড

উমাপদ কর



পা বাইরে যেতে-যেতে খোঁজে। নানা ঘাট। স্নানঘাট, ফেরিঘাট, শ্মশানঘাট। ঘাট সাধারণ ধরে (কমন নিলে) স্নান, ফেরি, শ্মশান। স্নানে বেলা গড়ায়। ফেরি শেষে বিবাহআসর। শুনশান শ্মশান আমাদের পাড়াতেই বসবাস করে।

তর্কের ধাপগুলি স্নানঘাটে শুয়ে। নামিয়ে গভীরে নিয়ে যায়। বিষয়ের পাঁপড়িগুলো এপার-ওপার সারে ফেরিকাঠে হেলান দিয়ে। শ্মশানের কুকুর গন্ধ শুঁকে-শুঁকে বমাল আমাকে ধরে ফেলে। এত জমিয়েছি, সময়ে ফেলতে পারিনি

গৃহঋণে বকেয়া থেকেই যায়। বাড়ির কাজ শেষ হয় না ইহজীবনে। ঘুলঘুলিতে জাফরি বসানোর কথা কবে সেই বাসি হয়ে যায়। একবিন্দু আলো এলে, ধ্যানে বসা যেত ত্রিনয়নে নিয়ে। স্নান এসো, মুখে পুলিপিঠে। ফেরি সরে সরে যাও ফাগুনের পলাশে শিমুলে। শ্মশানের চুপচাপ নেমে এসো ঘুলঘুলি বেয়ে। অশেষের শেষ কবেই বা অনুভবে আসে!

০২-০২-২০২২


ফুলের ভেতরে বাস করে দেখেছি, তার সুন্দর দেখা যায় না। বাইরে বেরোতে চাইলে এক জাল আমাকে জড়ায়। সুন্দর দেখি না। সুন্দর তবু তো আছে, থাকে। ফুলের সুন্দর আমাকে প্রশ্রয় দিয়ে সুন্দর করে। এক ফুলের সুন্দর ঝরে গেলে আরেক ফুলে বাস। আমার শুধুই চলা সুন্দর অফুরাণ

নিসর্গের অসুন্দর কিছু কি আছে! অপার অনিন্দ্য লো। ঘূণনজর অসুন্দর হতে পারে, হয়। সুন্দর অসুন্দরকে দেখতে পায় না। অসুন্দর তবু তো আছে, থাকে। লহমায় অসুন্দর সুন্দর হয়; মুহূর্তে সুন্দর অসুন্দরে হাঁড়ি ফাটায়। আমি একটি মুহূর্ত থেকে আরেকটি মুহূর্তে স্থান বদল করি, অসুন্দর থেকে বাঁচতে।

অসুন্দরের ভয় আমাকে ছোটায়। অসুন্দরের কালিমা আমাকে আমৃত্যু ছোটাতে পারে… 

০৩-০২-২২



No comments

FACEBOOK COMMENT