DEHLIJ

পার্থসারথী লাহিড়ী

রাত 


রাত ১




একদম নিজস্ব-সঙ্গীত গভীরে থাকে সলিলায়ন


আশ্চর্য ভ্রূণ-


গগন তুলে নেওয়া শরীরে মাখিয়ে দেই রূপের স্বরূপ,


পাপড়ি ফোটা অসম-আসঙ্গে পেতে চাই পদ্মগন্ধ -


গভীর তলিয়ে যাক -


আরও আরও আরও।


  


রাত ২


তোমার আশ্চর্য ভিজিয়েছে নিদ্রিত স্নানে 

বকুল তাই সাজিয়েছে আড়ষ্ট আকাশ 

সবাক সন্ধ্যাটুকু সাজাক ইচ্ছেমত 

শূন্যের আগেই ডালিম গন্ধময় চড়ুই 

অবশেষে ভেসে যেতে হলে যাব 

এক গুঢ় একান্ত মেঘপ্রহর 

জপে নেব সম্পূর্ণ আফিম সাবান ।।


 


রাত ৩ 


সব হজম করতে পারিনা ...

কাউকে টের পেতে দেই না

একটা বমন রহস্য আত্মস্থ করেছি ...


যাকে অভিযোজন বলে





সেই পুরনো দোয়েলটা - 

আতুর থেকে বমন রহস্য সবার জানা 

.

বয়সের হাঁটু থেকে “যেন”টাকে উহ্য রেখে দিচ্ছি, 

মনে হওয়া প্রিয়গুলো..., 


গেলা সার্বজনীন বিজ্ঞাপন- 

হোগলাবন দিয়ে হজম হজম গোপন শ্রাদ্ধপিণ্ড – 

তিস্তা এখন গতিহীন অপ্রয়োজনীয় শব্দ 

কে না জানে সেখানে কুশের জন্ম।

বাদ্য বাজনার মধ্যে কুশের জন্ম হয় নি, 

নিঃশব্দদের কোন দোষ দেওয়া যায় না। 

শব্দজন্ম বা জন্মশব্দ বিষয়ক আলোচনা রেখে আসুন শব্দজব্দ সাজাই।

.

যাযাবর, পানকৌড়ি, এখানেও পেছনপাকা লাল বেচারা বুলবুলি আছে।

প্রিয় শব্দের জন্যে যে রিডেরা চিৎ-শুয়ে থাকে, 

তাদের পাঁজর বলে। ঝার, জঙ্গল, আকাশ, 

বোকা-বোকা, চালাক-চালাক, বোকা চালাক ... 


আরও একটা উহ্যশব্দ আছে। 

নেমনতন্ন বাড়িতে চেনাশোনা ক্যাটারার সুন্দরী রিসেপ্টনিস্টকে বলে দেই – 

নিশ্চিন্তে থাকুন, প্রয়োজন চেয়ে নেব ইত্যাদি – 


সে হাসি ক্যাটারিং করে।

.

চিলেরা খুব উঁচু থেকে চোখ উলটে-পালটে বেঁচে থাকা কয়।


.

আসলে কি - 

ন্যাস্পাতি বলতে চাইছি? 

ন্যাস্পাতির কোন রিড বা পাঁজর নেই 

সে নিজে একটা রসের ডিব্বা –

নিংড়ে নিতে যে যার মত ...... 

.

মগ্নতার মধ্যে পাখি উড়ে আসে, লেজ দুলিয়ে দোয়েলশিস, 


তাকে কি গান বলে? 

.

জিভের কোন রিড থাকার কথা নয়, লালাময়,

মাংস ভীষণ মাংসবৎসল হয়,

মজ্জা-লজ্জাহীন দাঁত ব্যবহার করে। 

ভানকথা, যোনিহীন ডাঙাজমির মত পাশ ফিরে শুয়ে থাকে- 


এই এত রিংটোন, টুংটাং, 


এত যে গুবরে পোকা, ঘুণপোকা, হুলুধ্বনি – 

.

অন্য পাশ ফিরে শোব, ওদিকে শীত শীত শীত গলে পরছে।

বুকের মধ্যে দোয়েল, বুকের মধ্যে দোয়েলটা তবুও শিস দেয়। 


No comments

FACEBOOK COMMENT