DEHLIJ

রেখা নাথ

এক এহসাস/গুলজার 

রেখা নাথ




সোচতা হুঁ দোস্তোঁ, পর

মুকদমা কর দুঁই

ইসি বহানে তারিখ পর 

মুলাকাত তো হোগী !


জ্যায়দা কুছ নহী বদলতা

উম্রকে সাথ

বস্ বচপন কি জিদ

সমঝৌতৌঁ মে বদল জাতী হ্যায় ।


তু কিতনী ভী খুবসুরত

কিউঁ ন হো এ্যায় জিন্দগী

খুশমিজাজ দোস্তোঁ কে বগ্যার 

অচ্ছি নহী লগতী ।


মেরী লিখি বাতোঁকো 

হর কোই সমঝ নহী পাতা

কিউঁকি ম্যাঁয় এহসাস লিখতা হুঁ ।

ঔর লোগ অল্ফাজ পঢ়তে হ্যাঁয় ।

লফ্জোঁকে ভী জায়কে হোতে হ্যাঁয়,

পরোসনে কে পহলে

চখ ভী লেনা চাহিয়ে ।

অক্সর বহী দিয়ে 

হাথোঁ কো জলা দেতে হ্যাঁয়

জিনকো হম হবা সে 

বচা রহে হোতেঁ হ্যাঁয়


ব্যাঠ জাতা হুঁ 

মিট্টি পর অক্সর,

কিউঁকি মুঝে অপনি 

ঔকাৎ অচ্ছি লগতী হ্যায়


চুম লেতা হুঁ 

হর মুশকিলোঁ কো

ম্যায় অপনা মানকর

জিন্দগী ক্যায়সী ভী হ্যায়

আখির হ্যায় তো মেরী হী !


থম কে রহ যাতি হ্যায় 

জিন্দগী

জব জম কে বরসতী হ্যায়

পুরানী য়াদেঁ---!


মুখ্তসর সা গুরুর ভী জরুরী হ্যায়

জীনে কে লিয়ে 

জেয়াদা ঝুক কে মিলো 

তো দুনিয়া পীঠ কো 

পায়দান বনা লেতী হ্যায় ।


কোই সুলহ করা দে অব  

জিন্দগী কী উলঝনোঁ সে 

বড়ী তলব লগী হ্যায়

আজ মুস্করানে কী !


হাথ ছুটে ভী 

তো রিশতে নহী ছোড়া করতে

ওয়ক্ত কী শাখ সে 

লমহেঁ নহী তোড়া করতে !


শাম সে আঁখোঁ মেঁ 

নমী সী হ্যায়

আজ ফির আপ কী 

কমী সী হ্যায় !


অপনে অন্দর কে বচ্চে কো 

হমেশা জিন্দা রখিয়ে সাহাব

হদ সে জেয়াদা সমঝদারী

জিন্দগী কো বেরং কর দেতী হ্যায় ।


সমন্দর কো ঢুঁড়তী হ্যায় -- নদী জানে কিঁউ!!

পানী কো পানী কী –- ইয়ে কৈসী –- পিয়াস হ্যায় !!


একটি অনুভব/গুলজার

অনুবাদ—রেখা নাথ


ভাবছি বন্ধুদের ওপর 

কেস ঠুকে দিই

এই অজুহাতে 'তারিখে'

দেখা-সাক্ষাৎ তো হবে !


বেশী কিছু হয় না পরিবর্তন

বয়সের সঙ্গে -- 

কেবল ছোটবেলার জেদ 

'আপোসে' পরিবর্তিত হয়ে যায় --  !


তুমি কতই সুন্দর

হও না কেন হে জীবন

প্রাণবন্ত বন্ধুদের বিনা

ভালো লাগে না এ জীবন !


আমার লেখা কথাগুলি

সবাই বুঝতে পারে না 

কারণ আমি লিখি অনুভব

আর লোকে পড়ে শব্দগুলি !


কথারও তো

স্বাদ হয়,

পরিবেশনার আগে 

চেখে নেওয়া উচিত !


প্রায়শঃ সেই দীপ

হাত পুড়িয়ে দেয়,

যাকে হাওয়া থেকে

বাঁচাতে থাকি !


বসে পড়ি 

মাটিতে প্রায়ই

কারণ আমার নিজের 

স্ট্যাটাস(যোগ্যতা) ভালো লাগে ।


সহাস্যে স্বীকার করে নিই

প্রতিটি মুশকিল

নিজেরই ভেবে, 

জীবন যেমনই হোক না কেন

আসলে সে তো আমারই !


থম মেরে বসে থাকে

জীবন

যখন তুমুলভাবে ঝরে পড়ে

পুরানো দিনের ঘনঘোর স্মৃতিগুলি-- !


একটুখানি অহংকারও জরুরী

বেঁচে থাকার জন্য

একটু বেশী ঝুঁকে মিললে

তো দুনিয়া পিঠটাকে

পাপোষ বানিয়ে দেয় ।


কেউ রফা করিয়ে দিক এখন 

জীবনের জটিলতার সঙ্গে

বড়ই তৃষা জেগেছে 

হাসতে আজ !


হাত ছেড়ে গেলেও 

সম্বন্ধ ছেড়ো না

সময়ের শাখ থেকে 

মুহূর্তগুলি পেড়ো না ।


সন্ধ্যা থেকে দুই চোখে 

আর্দতা রয়েছে ভরে

আজ ফের তোমার 

অভাব বোধ হচ্ছে !


নিজের অন্তরের বাচ্চাটাকে

সর্বদা বাঁচিয়ে রেখো বন্ধু

সীমার বেশী উপলব্ধি – 

জীবনটাকে পানসে করে দেয় ! 


সমুদ্রকে খুঁজতে থাকে - -নদী, কে জানে কেন !!

জলকে জলের – - এ কেমন --- তৃষা !! 













No comments

FACEBOOK COMMENT